দলবদল ইস্যুতে সাংবাদিকদের একহাত নিলেন রোনালদো

দলবদলের বাজারে আলোচনার তুঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সবশেষ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে চলছিল গুঞ্জন। যেটা শোনার পর, খেপেছিলেন ক্লাবটির সমর্থকরা। একসময়ের শত্রুকে নিজেদের আঙিনায় স্বাগত জানাতে চান না তারা। এদিকে অ্যাতলেটিকো সমর্থকদের এমন আচরণ হাসিতে উড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি ক্লাবটির সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকদের একহাত নিলেন পর্তুগিজ তারকা।

0 13,035

গত বুধবার (২৭ জুলাই) স্পেনের তৃতীয় স্তরের দল নুমানসিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। সেখানে একদল সমর্থক এক ব্যানার নিয়ে হাজির হয়। যেখানে লেখা ছিল: ‘সিআরসেভেন নট ওয়েলকাম।’ মানে বুঝতে কারোরই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এর অর্থ হচ্ছে, ‘রোনালদোকে স্বাগত জানাব না।’

শুধু নুমানসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যানার টাঙিয়েই ক্ষান্ত যাননি অ্যাতলেটিকো সমর্থকরা। টুইটারে হ্যাশট্যাগ সিরিআরসেভেন দিয়ে চলছে রোনালদোবিরোধী প্রতিবাদ। তাদের একটাই দাবি, কোনোভাবেই রোনালদোকে দলে নেয়া যাবে না। এদিকে রোনালদোর বিরুদ্ধে অনলাইনে পিটিশন নেয়া শুরু করেছেন অ্যাতলেটিকো-ভক্তরা। ফলে অ্যাতলেটিকোয় রোনালদোর যোগ দেয়ার রাস্তা বন্ধই করে দিলেন তাদেরই সমর্থকরা।

পর্তুগিজ মহাতারকার ওপর অ্যাতলেটিকো সমর্থকদের এই রাগের কারণ খুব যৌক্তিক। রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সময় তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কম যন্ত্রণা দেননি রোনালদো। ক্যারিয়ারে এই অ্যাতলেটিকোর বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে অ্যাতলেটিকো প্রতিবার তাদের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছে। রোনালদো না থাকলে তাদের ঘরে আরও কিছু ট্রফি যুক্ত হতে পারত। তাই রোনালদোর ওপর অ্যাতলেটিকো সমর্থকদের ক্ষোভ।

বিষয়টি নিয়ে অবগত রোনালদো নিজেও। অ্যাতলেটিকো সমর্থকদের এমন আচরণকে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন হাসির মাধ্যমে। ক্লাবটির হয়ে যে নিজেরও খেলার আগ্রহ নেই, সেটাই যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন তিনি। ‘সিআরসেভেনমাদ্রিদি’ নামে সামাজিক মাধ্যমের একটি পেজে অ্যাতলেটিকো সমর্থকদের ব্যানারের ছবিসহ প্রতিরোধের বিষয়টি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে রোনালদো প্রতিক্রিয়া হিসেবে চারটি হাসির ইমোজি দেন।

শুধু তাই নয়, অ্যাতলেটিকোর সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে সংবাদ করায় তিনি ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর। হাসির ইমোজির নিচে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমাকে নিয়ে কথা না বলে যেন একদিনও থাকা অসম্ভব। নাহলে তো গণমাধ্যম অর্থ আয় করতে পারবে না। আপনারা ভালো করেই জানেন, মিথ্যা না বললে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন না। চালিয়ে যান, একদিন সত্য খবরটা পেয়ে যাবেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.