এই জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানই ধরে রাখলো বার্সেলোনা

0 9,863

দিনের শুরুতে আলমেরিয়ার জালে ৪বার বল জড়িয়েছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। উল্টো দুটি গোল হজম করতে হয়েছে তাদেরকে। এরপরই মাঠে নামেন বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষ রিয়াল বেটিস। বার্সেলোনাও চারবার বল জড়িয়েছিলো প্রতিপক্ষের জালে। তবে রিয়ালের সঙ্গে পার্থক্য থাকলো, তারা একটি গোলও হজম করেনি। রিয়াল বেটিসের জালে একহালি গোল দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ৪-০ ব্যবধানে।

সপ্তাহের মধ্যখানে রায়ো ভায়োকানোর কাছে ২-১ গোলের অপ্রত্যাশিত হারের পর বার্সা খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছিলো, রিয়াল বেটিসকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সেই আত্মবিশ্বাসকে আবার পরিপূর্ণ করে তুললো জাভি হার্নান্দেজের শিশ্যরা।

আন্দ্রে ক্রিস্টেনসেন, রবার্ট লেওয়ানডস্কি, রাফিনহার ১টি করে গোল এবং গুইদো রদ্রিগেজের আত্মঘাতি গোলে বার্সেলোনা চারবার বল জড়ায় বেটিসের জালে। সফরকারী দলটি গোল তো করতেই পারেনি, উল্টো ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে এডগার গঞ্জালেজের লাল কার্ডের কারণে বেটিস ১০ জনের দলে পরিণত হয়। প্রায় একঘণ্টা তাদেরকে খেলতে হয়েছে ১০জন নিয়েই।

এই জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানই ধরে রাখলো বার্সেলোনা। শিরোপা জয়ের প্রায় কাছাকাছিই পৌঁছে গেলো তারা। ৩২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৭৯-তে। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রইলো রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৩। ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে রিয়াল বেটিস।

ম্যাচের পর জাভি হার্নান্দেজ বলেন, ‘ভ্যালেকাসে গিয়ে (রায়ো ভায়োকানোর কাছে) হারের পর আমাদেরকে দ্রুত ফিরে আসা প্রয়োজন ছিল। আমরা শুরু করেছিলামও খুব ভালোভাবে। রিয়াল বেটিসের লাল কার্ড আসার আগেই আমরা ১-০ গোলে এগিয়েছিলাম। আমরা মূলত প্রথমার্ধেই ম্যাচ জয়ের কাজ সেরে নিয়েছিলাম।’

ক্রিস্টেনসেন প্রথমে বার্সার হয়ে বেটিসের গোলের তালা খোলেন। ১৪তম মিনিটে রাফিনহার ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক থেকে দুর্দান্ত এক হেডে বল জড়িয়ে দেন বেটিসের জালে।

বার্সেলোনার কাজ সহজ করে দেন বেটিসের ডিফেন্ডার এডগার গঞ্জালেজ। যিনি ম্যাচের ১২তম মিনিটে ইনজুরিতে পড়া লুইজ ফেলিপের জায়গায় মাঠে নামেন। ৩৩তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড সমান লাল কার্ড দেখে তিনি মাঠ থেকে বের হয়ে যান। অর্থ্যাৎ, মাঠে ছিলেন ২১ মিনিট। এর মধ্যেই দু’বার হলুদ কার্ড দেখেন তিনি।

এরপর মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি গোল করে ফেলে বার্সেলোনা। ৩৬তম মিনিটে গোল করেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি। এ নিয়ে লা লিগায় চলতি মৌসুমে ১৯তম গোল করলেন এই পোলিশ তারকা। ৩৯তম মিনিটে গোল করেন রাফিনহা। তার গোলপি প্রথমে সাইড রেফারি অফসাইডের অজুহাতে বাতিল করে দেন। পরে ভিএআর দেখে গোলটি বহাল রাখেন রেফারি।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে বার্সা কিছুটা শিথিলতা প্রদর্শন করে। যে কারণে তারা কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। তবে, ৮২তম মিনিটে বার্সার চাপ সামলাতে না পেরে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন গুইদো রদ্রিগেজ। আত্মঘাতি গোলের ফলেই ৪-০ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।

 

আইএইচএস/jn24

Leave A Reply

Your email address will not be published.