অপার সৌন্দর্য্যের স্বাদ পেতে কম খরচে চট্টগ্রামবাসীর জন্য সীতাকুণ্ড-মিরসরাই রেঞ্জের বিকল্প নেই। ঝর্ণা, পাহাড় একসঙ্গে উপভোগ করতে চাইলে আসতে হবে সীতাকুণ্ড পন্থিছিলার ঝরঝরি ট্রেইলে। দূর্গম পাহাড়ি পথ ডিঙিয়ে দেখা মিলবে ঝিরিপথের, ঝিরিপথে হাঁটতে হাঁটতে দেখা মিলবে হরেকরকমের অতিথি পাখির, ছোট ছোট কুম বড় বড় পাথর সাথে আছে শরীর শীতল করা ঠান্ডা বাতাস। মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় ঝিরিপথ দিয়ে সারাদিন কল কল করে ছুটে আসা ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি, পাথর এর উপরে কলকল শব্দে বয়ে আসা স্রোতধারা। পাহাড়ের ঢালে চোখে পড়বে অসংখ্য নাম অজানা ফুল, উপর থেকে নেমে আসা সবুজ গাছের ভাঁজ, ঘুম ঘুম স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে আছে চারদিক।
পাহাড় বেয়ে উপড়ে উঠে গেলে বেশ কয়েকটি ক্যাসকেড ও ঝর্ণা আপনাকে আরো মুগ্ধ করবে বিশেষ করে সুন্দর একটি ক্যাসকেড আছে যা সিড়ির মত ধাপে ধাপে খাজকাটা। পুরো ট্রেইল’টায় অমায়িক যা এক কথায় মনোমুগ্ধকর হাইকিং-ট্রেইল। যেখানে জোঁক ও পথের পাথুরে পিচ্ছিলতা এনে দেয় ভিন্নরকম শিহরণ। আমি এই প্রথম কোন ট্রেইলে এতো আছাড় খেলাম।
ঝর্ণা, ক্যাসকেড, ঝর্ণা এইভাবে দেখতে দেখতে আমাদের গন্তব্য শেষ কিন্তু তারপরও কৌতুহল জাগলো যে, ঝিরিপথ যেহেতু আছে জলপ্রপাতের দেখাও মিলবে ইনশাআল্লাহ। শুধুমাত্র এটাই ভেবে ঝিরিপথ ধরে এগুতে থাকি এবং আলহামদুলিল্লাহ এমন একটি সুন্দর অমায়িক জলপ্রপাত পেয়েও যায়।
সে মুহুর্তের অনুভূতি’টা সত্যি লিখে প্রকাশ করার মতো না। এই জলপ্রপাত দর্শনের সৌভাগ্য টিমের সবার হয়নি। আমাদের কয়েকজনেরই সৌভাগ্য’টা হয়েছে।

সৌভাগ্যবানরা হলেন, কাইসার হামিদ, মোহাম্মাদ তাহের, আরিয়ান অয়ন, সাজ্জাদ হোসেন, ফজলে রাব্বি, মুসলিম উদ্দিন, সাইফ আলী, মোঃ মহিউদ্দিন।
আহা জীবন কি সুন্দর…….
এই পথটি অতি দূর্গম। আমি যখন প্রথম গেলাম সেখানে কেউ নেই বললেই চলে। আমিও পথ চিনতাম না। যেহেতু পাহাড়ি পথে আগেও হাঁটা হয়েছে সেই সুবাদে সেই জ্ঞানটা কাজে লাগালাম। যদিও বা তেমন পথ হারা হয় নি। এই পথটা অবশ্যই অবশ্যই অসাধারণ। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার মতো ছিল। আমি দু’বারই অনেক উপভোগ করেছি ট্রেইল টা।
যে মানুষটা ঘর ছেড়ে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যায়, সে আর আগের মতো থাকে না। ফিরে এসে সে আপনজনদের ভালোবাসে আরও গভীরভাবে। জীবনকে সে দেখে আরও উচ্চতর দৃষ্টিতে। বদলে যায় তার ধ্যান-ধারণা। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সোনার চেয়েও দামি, তাই উপভোগ করুন সময় থাকতেই।
এই ট্রেইলে.. আমরা গিয়েছিলাম তবে লেখক এইখানে শেষের যে ঝর্ণা’টির কথা উল্লেখ করেছে সেটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
শেষের ঝর্ণা’টি আসলেই সুন্দর। এইবার গেলে ইনশাআল্লাহ এটা অবধি যাবো।
দারুণ লিখনি… চালিয়ে যান ভাইয়া।
নয়ন সাহেব.. চট্টগ্রাম আইতাছি সব ঘুরে দেখাইতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রতিবছর একবার যায়। কিন্তু সেটা শীতের মৌসুমে যায় বলে সীতাকুণ্ড মিরসরাই এর এই ঝর্ণাগুলো দেখার সৌভাগ্য হয়না। ইনশা আল্লাহ এবার ভরা বর্ষায় যাবো।
প্রকৃতি বেইমানি করেনা…
জীবনে কিছু স্পেশাল স্মৃতি থাকা প্রয়োজন যেটার জন্য ভ্রমন করা আবশ্যক।
সুন্দর লিখনি.. সামনের দিনের জন্য শুভ কামনা।
আহা.. জীবনে এসব Adventure এর গল্প শুধু পড়েই যাচ্ছি। কবে নিজে এসবের চাক্ষুষ সাক্ষী হবো। সবাই দোয়া করবেন যাতে একটা ট্রাভেলার হাজবেন্ড জুটে আমার কপালে। 🖤
আহা.. নয়ন মাথা নষ্ট করা লিখা। পটুয়াখালীর বাহিরে বেরুতে পারছিনা। তুই আই কুয়াকাটা ঘুরে দেখাবো তুকে তারপর তুই আমারে চট্টগ্রাম, বান্দরবান ঘুরে দেখাইস।
আমি এই চিরপ্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখাকে বলি
কবিত্ব, কবিত্ব;
অনিঃশেষ এই অগ্নি বুকে নিয়ে জেগে থাকে কবি।
নিজস্বতা …. সুন্দর লিখনি ছোট ভাই।
বাকি জীবন সুখে কাটিয়ে দাও, আর কিছুর দরকার নেই!