বাফুফের বিশ্বকাপের টিকিট পাবেন যারা
দরজায় কড়া নাড়ছে ফিফা বিশ্বকাপ। নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না পেলেও মাঠে বসে দেখার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের দর্শকদের। বিশ্বকাপের ননপার্টিসিপেটিং দেশ হিসেবে বাংলাদেশও পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। বাফুফের কাছে এই টিকিট পাঠাবে ফিফা। তবে এই টিকিট চাইলেই পাচ্ছে না সাধারণ দর্শকরা।
কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বণ্টন নিয়ে বাফুফে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করেছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) টিকিট ক্রয়ের নীতিমালা ও নির্দেশনা জারি করেছে বাফুফে। তবে এই নীতিমালায় টিকিট পাবেন না আপামর ফুটবল সমর্থকরা। শুধুমাত্র ফুটবল সংশ্লিষ্টরাই পাবেন ফিফার দেওয়া বিশ্বকাপের টিকিট।
নীতিমালা অনুযায়ী ছয়টি ক্যাটাগরির ব্যক্তিবর্গের মধ্যে টিকিট বণ্টন করবে বাফুফে। যেখানে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বাফুফের নির্বাহী কমিটি, এরপর রয়েছে বাফুফে অধিভুক্ত সংস্থাগুলো, বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা, বাফুফের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানসমূহ, বাফুফের কর্মকর্তা ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ও বর্তমান ফুটবলার। শুধুমাত্র এই ছয় ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরাই টিকিটের আবেদন করতে পারবেন।
১২-১৯ এপ্রিলের মধ্যে শুধুমাত্র এই ছয় ক্যাটাগরির ব্যক্তিরাই বাফুফের অ্যাকাউন্টে ম্যাচ টিকিট বাবদ অগ্রিম অর্থ জমা করে আবেদন করতে পারবেন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্টের কপি ও ছবি জমা দিতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ দুটি টিকিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করলেই যে টিকিট মিলবে তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না বাফুফে। টিকিট সংখ্যা সীমিত হওয়ায় আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকেই বঞ্চিত হবেন টিকিট প্রাপ্তিতে। টিকিট বঞ্চিতদের অর্থ অবশ্য ফেরতযোগ্য।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানালেন, কী সংখ্যক টিকেট বাংলাদেশ পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের নন পার্টিসিপেটিং দেশ হিসেবে টিকিট পাচ্ছি। আমাদের টিকিটের সংখ্যা ২০০-২৫০ হতে পারে।’
টিকিট পাওয়ার পর কিছু শর্ত মানতে হবে প্রাপককে। টিকিট দিলেও ভিসার দায়িত্ব নেবে না বাফুফে। অন্যদিকে এই টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয়।