ব্যাংক নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তারা চোরদের এজেন্ট কিনা

0 16,719

ব্যাংক নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা চোরদের এজেন্ট কিনা, এমন সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কিছু লোক আছে গুজব ছাড়ানোর। তারা বলছে— ব্যাংকে নাকি টাকা থাকবে না। তাদের গুজবে কান দিয়ে মানুষ টাকা তুলে ঘরে রাখছেন। এতে তো টাকা চুরির যাওয়ার আশঙ্কা আছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তারা চোরদের এজেন্ট কিনা জানি না।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। ২০০৮ এ নির্বাচন নিয়ে তো কথা হয়নি। জাতীয়, আন্তর্জাতিক কেউ তো সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি কয়টা সিট পেয়েছে? মাত্র ৩০টা। জাতীয় পার্টি ২৭টা। জাতীয় পার্টি আর কয়েকটা পেলে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারতেন না। তাহলে এত লাফালাফি কেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে। বিএনপিসহ যারাই আগে ক্ষমতায় ছিল, দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। ২১ বছর এ দেশের মানুষ নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিত।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ভুলে গেছেন, ২০০১ সালে দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সাংবাদিক ঢুকতেই পারতেন না। সে অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিল। গৌরনদী থেকে একটা গ্রুপ কোটালিপাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছে ৭১’ এর মতো।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি আমলের নির্যাতন আর ৭১ এর ঘটনার মধ্যে তফাত দেখি না। যুব মহিলা লীগের নেত্রীরাই তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ওই সময় একদিকে পুলিশ আরেকদিকে ছাত্রদলের গুন্ডাবাহিনী অকথ্য নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। রাস্তায় ফেলে কাপড় ছিঁড়ে, চুল ছিঁড়ে যে অত্যাচার করেছে, আমরা এসে কিন্তু সেটা করিনি। আমরা দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি।

এসময় যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ এলাকায় কাজ করবে। আমরা যে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যে- বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতাসহ নানাভাবে মানুষকে সহযোগিতা করছি। গ্রামেও শহরের নাগরিক সুবিধা দিচ্ছি। এগুলো মানুষের কাছে তুল ধরতে হবে।

‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যায়ে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করেছে যুব মহিলা লীগ।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপিকা অপু উকিলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

২০০২ সালের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সেসময় নাজমা আক্তারকে আহ্বায়ক ও অপু উকিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের কমিটি করা হয়। সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন হয় ২০০৪ সালে। এতে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তিন বছর পর পর সম্মেলনের গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৩ বছর পর হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে ফের নাজমা আক্তার ও অপু উকিল নেতৃত্বে আসেন। এবার নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।

 

এসইউজে/এমএএইচ/জিকেএস jn

Leave A Reply

Your email address will not be published.