কাদিজের মাঠে গিয়ে একচেটিয়া খেললো রিয়াল মাদ্রিদ

0 8,656

পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রিয়ালের প্রভাব-প্রতিপত্তি কতটা ছিল এই ম্যাচে, কতটা দাপট নিয়ে খেলেছে তারা। বল পজেশনের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে। ৭০ ভাগ বল দখল ছিল রিয়ালের এবং মাত্র ৩০ ভাগ বল দখলে ছিলো কাদিজের।

কাদিজের গোললক্ষ্যে মোট ৩৫টি শট নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলাররা। এর মধ্যে গোলমুখে তথা অন টার্গেটে শট ছিল ১১টি। ম্যাচজুড়ে করিম বেনজেমা, মার্কো আসেনসিও, রদ্রিগোরা একের পর এক শট নিয়ে গেলেন।

 

মুহূর্মূহু আক্রমণের তোড়ে মৌসুমে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি শটের রেকর্ডও গড়ে ফেলল রিয়াল মাদ্রিদ। আগের সর্বোচ্চ ছিল আলমেরিয়ার বিপক্ষে রিয়ালেরই ২৯ শট। অথচ এর মধ্যে মাত্র দুটিই জড়িয়েছে রিয়ালের জালে। কাদিজ রিয়ালের গোল লক্ষ্যে শট নিয়েছে ১২টি। এর মধ্যে ছিল অন টার্গেটে ৩টি। কিন্তু কোনোটিই রিয়ালের জালে জড়াতে পারেনি তারা।

২-০ গোলের এই জয়ে লা লিগায় বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কিছুটা কমিয়ে আনল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৭২। এক ম্যাচ বেশি খেলে রিয়ালের পয়েন্ট ৬২। ২৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে কাদিজের অবস্থান ১৫তম স্থানে।

 

চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগের দল থেকে ছয়টি পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। যার মধ্যে মাঝমাঠে লুকা মদরিচ ও টনি ক্রুজের জায়গায় অঁরেলিয়ে চুয়ামেনি ও দানি সেবায়োস আর উইংয়ে ভিনিসিয়ুসের জায়গায় আসেনসিওকে মাঠে নামান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ম্যাচে রিয়াল প্রথম গোল পায় ৭২ মিনিটে, নাচোর সৌজন্যে। চার মিনিট পর দ্বিতীয় গোলটি করেন আসেনসিও। এটি তার চলতি মৌসুমে দশম গোল। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল দিলো রিয়াল।

কাদিজের গোলমুখে রিয়ালের আনাগোনা কত বেশি ছিল, তার সাক্ষ্য দিচ্ছে আরেকটি সংখ্যা। কাদিজের বক্সে মোট ৬৯ বার বল স্পর্শ করেছে রিয়াল। যা চলতি মৌসুমে প্রতিপক্ষের বক্সে কোনো দলের সর্বোচ্চ।

 

আইএইচএস/ jn

Leave A Reply

Your email address will not be published.