ভারতের আরও উদার হওয়া উচিত: শেখ হাসিনা

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা এমন কিছু না যে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধান করা যাবে না। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

0 17,174

ভারত সফরের আগে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক যে আমরা ভাটির দেশ। ভারতের উজান থেকে পানি আমাদের দেশে আসে। সেক্ষেত্রে আরও উদারতা প্রদর্শন করা উচিত ভারতের। এতে দুদেশেরই লাভ হবে।

সাক্ষাৎকার নেয়া ভারতীয় সাংবাদিককে তিনি জানান, পানির অভাবে বাংলাদেশের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। বিশেষ করে তিস্তায় পানি না-থাকলে আমরা আবাদ করতে পারি না, ফসল ঘরে তুলতে পারি না। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা হয়। এখন তার সমাধান হওয়া দরকার। আমরা সমাধানে বেশি আগ্রহী। কিন্তু সমস্যাটা আপনাদের দেশে (ভারত)। আমি আশা করছি, সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি বলেন, গঙ্গা নদীতে দুদেশেরই ভাগ রয়েছে। আমরা কেবল গঙ্গার পানিই ভাগ করি। আমরা পানিবণ্টন চুক্তি সই করেছি। আমাদের আরও ৫৪টি নদী রয়েছে। এটি খুবই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যার সমাধান হওয়া উচিত।

এদিকে, গেল ২৫ আগস্ট ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। প্রায় একযুগ পরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত থেকে সিলেটে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে ঢাকার প্রস্তাবিত সমঝোতা স্মারক দ্রুত সইয়ে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি।

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যৌথ নদী গঙ্গার পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারেও একটি যৌথ সমীক্ষার বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুদেশ। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ করলেও তাতে সায় দেয়নি ভারতীয় প্রতিনিধিরা। তারা বরং বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন ৫৪টি নদী রয়েছে। এই নদীগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাতটি নদীর পানিবণ্টনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আরও আটটি নদীর পানির তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ পানিবণ্টনের রূপরেখা তৈরির যে আলোচনা চলছে, তার পরিধি এবার আরও বেড়েছে। এ বিষয়ে জেআরসির কারিগরি পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.