সিটির মাঠে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর সমর্থকদের আশা ছিল, নিজেদের ঘরের মাঠে সিটিকে গোল বন্যায় ভাসাবে বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের গোল বন্যায় ভাসানো তো দূরে থাক, হারাতেই পারেনি বায়ার্ন।
১-১ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। যার ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে বায়ার্নকে। সেমিফাইনালে উঠে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্র্রিদকেই পেলো ম্যানচেস্টার সিটি। টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার সেমিফাইনালে উঠলো ম্যানসিটি।
গতবার প্রথম লেগে সিটির কাছে ৪-৩ গোলে হেরেছিলো রিয়াল। ফিরতি লেগেও ১-০ গোলে হারতে যাচ্ছিলো তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চরম নাটকীয়তার জন্মদিয়ে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায় রিয়াল এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে ফাইনাল নিশ্চিত করে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
বায়ার্নের সঙ্গে ম্যাচটি জিততেও পারতো ম্যানসিটি। প্রথমার্ধে যদি আর্লিং হালান্ড পেনাল্টি শট থেকে গোলটি মিস না করতেন। দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো পেনাল্টি মিস করলেন তিনি।
তবে পেনাল্টি মিস করলেও গোল মিস হলো নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকারের। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে তার গোলেই এগিয়ে গিয়েছিলো ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু ৮৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে সমতায় নিয়ে আসেন জসুয়া কিমিচ। শেষ পর্যন্ত এই ১-১ গোলে সমতা দিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি এবং বায়ার্নের ফুটবলাররা।
৫৭ মিনিটে বায়ার্ন ডিফেন্ডার দায়ত উপামেচানোর পা থেকে বল স্লিপ করে বেরিয়ে গেলে সেটি পেয়ে যান হালান্ড এবং দারুন এক শটে জড়িয়ে দেন বায়ার্নের জালে। এ নিয়ে মৌসুমে ৪৮তম গোল করলেন হালান্ড।
বায়ার্ন মিউনিখের দুর্দশার ষোলকলা পূর্ণ হয় ম্যাচের শেষ দিকে। যখন কোচ টমাস টুখেলকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড মানেই তো লাল কার্ড। সুতরাং, মাঠ থেকে বহিষ্কার হতে হয় বায়ার্ন কোচকে।
ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘টানা তিনটি সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছি। আমার চেয়ে খুশি আর কেউ নয়।’ ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত বায়ার্নের কোচ ছিলেন তিনি। বায়ার্নকে নিয়ে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে সহজ ফুটবল আশা করি না। দেখুন, এখনও তারা কতটা শক্তিশালী ফুটবল খেলে।’
আইএইচএস/এএসএম jn
