পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় বিকৃতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ তুলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২২ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের প্রদত্ত বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

0 12,808

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপিকে ঘিরে ধরেন, এ সময় সাংবাদিকদের অনুরোধে, তাদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে তার ধারে কাছেও আমি বলিনি। আমি ইলেকশন নিয়ে কোন কথা বলি নাই। ভারতে (গিয়ে) ইলেকশন নিয়ে কোন সাহায্যের জন্য বলিনি।

সাংবাদিকরা আরও জানতে চান, আপনি তাহলে কী বলেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি স্থিতিশীলতার কথা বলেছি। আমি গ্লোবাল কন্টেক্সটে সব জায়গায় যে অস্থিতিশীলতা হচ্ছে- স্ট্যাবিলিটির কথা বলেছি।

সাংবাদিকরা তখন জানতে চান, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিল, এটা নিয়ে আপনি কি বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো তো একেবারে ডাহা…।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কিন্তু কিছু মিডিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরোক্ত উক্তি উল্লেখ না করে তা বিকৃতভাবে প্রচার করছে। তা হলো- শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে— ভারতে গিয়ে এমন কোনও কথা আমি বলিনি।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উক্তি বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘটনাকে দুঃখজনক হিসেবে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা পরররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিনি সম্প্রতি ভারত সফরের সময় ভারত সরকারের কাছে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই সফরে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথাই হয়নি। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি গৌহাটিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ হওয়ায় আসামে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভারত সরকারকে বলেছেন যে,  উভয় দেশের মঙ্গলের জন্য, উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন। কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে অতিরঞ্জিতভাবে প্রচার করে যাতে উভয় দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ভারতে সাম্প্রদায়িক সমস্যা দেখা দিলে এটা আমাদের দেশকেও আঘাত দেয়। শেখ হাসিনা স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের প্রতীক। শেখ হাসিনা থাকলে অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সুতরাং তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা আমরা করবো। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সহায়তা চেয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.