‘খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলার কথাটি পলিটিক্যাল হিউমার’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেয়ার কথাটি ছিল হিউমার (হাস্যরসাত্মক)।

0 8,957

তিনি বলেন, বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটিও হিউমার ছিল।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাদের।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেয়া। বলেছিলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরও…তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেয়া উচিত।’


গত শনিবার দলীয় এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেয়া হবে না। বাংলামোটরে যে বাধা দেয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’

আওয়ামী লীগ মনেপ্রাণে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ চায়। কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টি যেহেতু এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ সংলাপের বিষয়টি দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার, সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী যখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন, তখন আপনারা জানতে পারবেন। এটা তো ওপেন সিক্রেট।

সংলাপের সুযোগ থাকছে কি না-জানতে চাইলে তিনি আবারও বলেন, এখনও এসব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কাজেই আমি এ সিদ্ধান্তটা আগাম কেন বলব?

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যায়নি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনে বিএনপির যাওয়াটা তাদের অধিকার। তারা এখন যদি নিজেরা ইচ্ছা করে না যান, সেখানে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে কি বলব? আমরা তাদের যদি বলি তাহলে বলব নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সবার যাওয়া উচিত এবং আমরা একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। সেজন্য বিএনপির মতো একটি বড় দল বাইরে থাকবে সেটি ঠিক নয়। আমরা মনে করি, তারা আসুক। আমরা মনেপ্রাণে চাই নির্বাচনটা তাদের সঙ্গে হোক।

বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বসে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক। এতে সচিবালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। আর গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় নিয়মিত আলোচ্যসূচির পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.