আরব আমিরাতের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ

0 12,827

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল ওতটা শক্তিশালী নয়। তাই বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলও চোখ রাঙাবে? হ্যাঁ, বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমিরাতের মাঠে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির শুরুটা খুব ভালো হয়েছে, বলার উপায় নেই।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং শেষ ওভার পর্যন্ত জমে ছিল লড়াই। যদিও শেষ হাসি হেসেছে টাইগাররাই। দুবাইয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতেছে ৭ রানে।

আরব আমিরাতের সামনে ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল টাইগাররা। ওপেনার চিরাগ সুজির ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে (২৪ বলে ৩৯) বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ।

একটা সময় ২ উইকেটেই ৭৭ রান তুলে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। ইনিংসের তখন ১০ ওভারও হয়নি। সেখান থেকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে নুরুল হাসান সোহানের দল। ৯৮ রানে ৬টি আর ১২৪ রানের মধ্যে ৮ উইকেট তুলে নিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে।

কিন্তু শেষদিকে আয়ান আফজাল খান আর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারই প্রায় জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন আরব আমিরাতকে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। একটি চার বা ছক্কা বাংলাদেশের হার নিশ্চিত করে দিতে পারতো।

তবে শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে বোলিং করেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম দুই বলে ৩ রান দেওয়ার পর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তিনি তুলে নেন স্বাগতিকদের শেষ ২ উইকেট। আফজাল আউট হন ১৭ বলে ২৫ করে।

শরিফুল ২১ রানে নেন ৩টি উইকেট। ১৭ রানে ৩ উইকেট শিকার মেহেদি হাসান মিরাজের। মোস্তাফিজুর রহমান ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৩১ রান।

এর আগে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর নুরুল হাসান সোহানের ৯ ওভারের জুটির ওপর ভর করে আরব আমিরাতের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটার গড়েন ৮১ রানের অনবদ্য জুটি। তাতেই বাংলাদেশ পায় ৫ উইকেটে ১৫৮ রানের পুঁজি।

টি-টোয়েন্টি তরুণদের খেলা। প্রায় প্রতিটি দলই তারুণ্যের জয়োগান দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ দলেও তারুণ্যের আধিক্য। তবে, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা ঠিক তারুণ্যের এই খেলাটাতেই কেন যেন পিছিয়ে।

যদিও আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই ধারণা বদলে দেয়ার চেষ্টা করেন তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। একের পর এক যখন উইকেট পড়ছিল, তখন আফিফই ঘুরে দাঁড়ালেন এবং তুলে নিলেন দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি। ৩৮ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেন ৫৫ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭৭ রানে। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলে ২৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মেরেছেন তিনি।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যারপরনাই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টপ অর্ডাররা কিছুই করতে পারেনি। দুই মেকশিফট ওপেনার মিরাজ, সাব্বির রহমান এবং তিন নম্বরে নামা লিটন দাস পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কোনো রান না করে আউট হয়ে যান সাব্বির। মিরাজ করেছিলেন ১৪ বলে ১২ রান। এরপর ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনিং থেকে তিনে নেমে যাওয়া লিটন কুমার দাস।

ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা দেখান ইয়াসির আলী রাব্বিও। ৭ বল খেলে করেন কেবল ৪ রান। এরপরই মেইয়াপ্পনের বলে বোল্ড হয়ে যান রাব্বি। ৪৭ রানে পড়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট।

এরপর মোসাদ্দেক হোসেনও (৮ বলে ৩) সুবিধা করতে না পারলে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আফিফ আর সোহানের বড় জুটিতে মান রক্ষা।

এমএমআর/কেএসআরjn

Leave A Reply

Your email address will not be published.