ইউরোপিয়ান দেশের বিপক্ষে মেসি কতটা ভালো?

আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে আবার মাঠে নামছে লিওনেল মেসি। বুধবার (১ জুন) দিনগত রাতে মাঠে নামছে আলবিসেলেস্তেরা। মেসির নেতৃত্বে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নরা খেলতে নামবে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচটিকে নামকরণ করা হয়েছে 'লা ফিনালিসিমা'।

0 15,912

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। সবশেষ কোপা আমেরিকা জিতে মেসির আর্জেন্টিনা ঘুচিয়েছে দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা। ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির জাতীয় দলের ক্যারিয়ারে সেটাই ছিল প্রথম কোন বৈশ্বিক শিরোপা। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের মুকুটে এবার নতুন পালক যুক্ত করার সুযোগ।

দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়নের এই লড়াই ফিফার অফিসিয়াল ম্যাচ। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের ট্রফি কেসে নতুন একটি শিরোপা যুক্ত হবে। অন্যান্য ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও ৯০ মিনিট খেলা হবে। তবে নির্ধারির সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র হলে কোনো অতিরিক্ত সময় যোগ করা হবে না, বরং সরাসরি গড়াবে পেনাল্টি শুটআউটে।

এই ম্যাচে জয় পেলে এটি হবে মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শিরোপা। ‘লা ফিনালিসিমা’ খ্যাত এই ম্যাচ উপলক্ষে উত্তর স্পেনের ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ট্রেইনিং গ্রাউন্ডে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এরপর সোমবার (২৯ জুন) আলবিসেলেস্তেরা ইংল্যান্ডে পাড়ি দেয়।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। হাঙ্গেরির বিপক্ষে সেই অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামার দুই মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সেদিনের ‘নতুন ম্যারাডোনা’। এরপর ক্যারিয়ারে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও প্রীতি ম্যাচ মিলিয়ে মোট ২৯টি ম্যাচ খেলেছেন ইউরোপের দেশগুলোর বিপক্ষে। তাতে জয় ১০ ম্যাচে, চার ম্যাচে ড্র ও বাকি ১৫ ম্যাচে হেরেছে তার দল।

ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ তিন গোল পেয়েছেন মেসি। ক্যারিয়ারে গড়ে ১০৩ মিনিটে গোলে অবদান রাখা আর্জেন্টিনা অধিনায়কের রেকর্ড ইউরোপের দেশগুলোর বিপক্ষে বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭ মিনিটে।

মেসির অভিষেকের পর ইতালির বিপক্ষে মোট দুটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা কিন্তু ইনজুরিতে দুবারই খেলতে পারেননি তিনি। আজ্জুরিদের বিপক্ষে জালের দেখা পেলে সেটা হবে দশম ইউরোপিয়ান দেশের বিপক্ষে মেসির গোল পাওয়ার ঘটনা।

ইউরোপিয়ান দেশের বিপক্ষে ২৯ ম্যাচে মেসি ১৩ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট করেছেন।

ইউরোপিয়ান দেশের বিপক্ষে মেসির গোল –

১. ক্রোয়েশিয়া – ২ গোল
২. সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রো -১ গোল
৩. সুইজারল্যান্ড – ৩ গোল
৪. ফ্রান্স – ১ গোল
৫. স্পেন – ২ গোল
৬. পর্তুগাল – ১ গোল
৭. জার্মানি – ১ গোল
৮. স্লোভেনিয়া – ১ গোল
৯. বসনিয়া – ১ গোল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.