খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটি জানতে চেয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ সময় ওএমএস নীতিমালা অনুযায়ী সারাদেশে চাল, আটা, তেল, পেঁয়াজ, ডাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে দিতে বলেছেন আদালত। এছাড়া সয়াবিন তেল মজুত করার অভিযোগে আটকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উৎপাদন পর্যায়ে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ হচ্ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারেন, সে জন্য আগামী দু-একদিনের মধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়।