আবারও করিম বেনজেমা এবং আবারও রিয়াল মাদ্রিদের জয়

0 13,373

 

আবারও সেই চেলসি। আবারও করিম বেনজেমা এবং আবারও রিয়াল মাদ্রিদের জয়। এটাই ছিল যেন অবধারিত এবং সেটাই হলো শেষ পর্যন্ত। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চেলসিকে ২-০ গোলের পরাজয় উপহার দিয়ে আতিথেয়তা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরতি লেগে বড় কোনো অঘটন না ঘটলে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।

গতবারও কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো চেলসি এবং রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার প্রথম লেগে করিম বেনজেমার হ্যাটট্রিকে রিয়াল জিতেছিল ৩-১ ব্যবধানে। দ্বিতীয় লেগে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখে চেলসি।

কিন্তু প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখে রিয়াল ব্যবধান কমিয়ে আনে ৩-২ ব্যবধানে। ৮০ মিনিটে রদ্রিগো আর ইনজুরি টাইমে অন্য গোলটি করেন বেনজেমা।

এবারও সেই বেনজেমাই গোলের সূচনা করেন চেলসির জালে। ম্যাচের ২১তম মিনিটে প্রথম গোল করেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন মার্কো আসেনসিও। এই দুই গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

 

তবে ২-০ নয়, ফাইনাল স্কোরলাইনটা আরও বড় হতে পারতো রিয়ালের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। ২-০ এর বেশি আর কোনো গোল হলো না।

নতুন কেয়ারটেকার কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীনে রিয়ালের বিপক্ষে এই ম্যাচে চেলসি বেশ শক্তভাবেই শুরু করেছিলো। হোয়াও ফেলিক্স এবং রাহিম স্টার্লিং শুরুতেই গোল করার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়ার সামনে গিয়েই থমকে যেতে হয়েছে তাদেরকে।

তবে, ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ নিজেদের পক্ষে টেনে নেয় রিয়াল। ২০ মিনিটের পর, অর্থ্যাৎ ম্যাচের ২২তম মিনিটে করিম বেনজেমার তীক্ষ্ণ ফিনিশিং থেকে আর বাঁচতে পারেনি চেলসি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র চেলসি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে কাটিয়ে বল পাস দেন বেনজেমাকে। আলতো টোকায় একেবারে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন বেনজেমা।

 

এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ৯০টি গোল করলেন করিম বেনজেমা। যার শেষ ১১টিই এসেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবের বিপক্ষে।

প্রথমার্ধে চেলসির গোলমুখে মোট ৮টি শট নিয়েছিলো মাদ্রিদ ফুটবলাররা। চেলসি ফুটবলাররা প্রথমার্ধে ড্রেসিংরুমে গিয়ে বেশ সন্তুষ্টই থাকার কথা। কারণ, স্বাগতিকদের মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখেও মাত্র ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে তারা প্রথমার্ধ শেষ করতে পেরেছে।

দ্বিতীয়ার্দে রিয়াল মাদ্রিদকে আরও শক্তিশালী মনে হচ্ছিলো। একই সঙ্গে চেলসির জন্য খেলায় নিজেদের ধরে রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছিলো। ব্যাপারটা আরও কঠিন হয়ে যায়, ৫৯ মিনিটে রদ্রিগোকে হার্ড ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন বেন চিলওয়েল।

 

৭১তম মিনিটে রদ্রিগোর পরিবর্তে মাঠে নামেন মার্কো আসেনসিও। মাঠে নেমেই নিজের জাত চেনালেন তিনি। ৭৪তম মিনিটেই দুর্দান্ত গোল করে রিয়ালের জয়ের ব্যবধান ২-০ করে ফেলেন মার্কো আসেনসিও।

ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বলেন, ‘আমরা খুব ভালো খেলেছি। এটা আমাদের অন্যতম সেরা একটি ম্যাচ ছিল। তবে, এখনও আমাদের সামনে ফিরতি পর্ব রয়েছে। যে কারণে এখনই উৎসব করার কিছু নেই। নিজেদের শান্ত এবং শক্তিশালী রাখাটাই জরুরি।’

 

আইএইচএস/jagonews

Leave A Reply

Your email address will not be published.