টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: যেখানে সবার চেয়ে এগিয়ে সাকিব

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অর্জনের খাতা খালি। এ সংস্করণে সব আসরে অংশ নেয়া লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ সাফল্য সুপার এইটে জায়গা পাওয়া। দলগতভাবে টাইগাররা পিছিয়ে থাকলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উজ্জ্বল সাকিব আল হাসান। উইকেট শিকারে তিনি সবার সেরা।

0 21,848

ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের। এর মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলগুলো। ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে অংশগ্রহণকারী ১৬ দলের নাম। আগামী ১৬ অক্টোবর মাঠে গড়াবে অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার পর্দা নামবে ১৩ নভেম্বর দুই সেরা দলের মধ্যে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের মাধ্যমে।

এর আগে বাংলাদেশ সাত আসরের সব ম্যাচেই অংশ নিয়েছে। কিন্তু বলার মতো সাফল্য দেখাতে পারেনি কোনো আসরে। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে টাইগারদের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা পাওয়া। তবে দলগত পারফরম্যান্সে টাইগাররা নিষ্প্রভ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দ্যুতি ছড়িয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সবার প্রথমে আছেন তিনি। ৩১ ম্যাচে তার শিকার ৪১ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার গত বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার। আসরে তিনি চার উইকেট শিকার করেছেন সব মিলিয়ে তিনবার। বোলিংয়ে তার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড আগামী তিন আসরেও কেউ ভাঙতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে।

তার পরে ৩৪ ম্যাচে ৩৯ উইকেট শিকার করে তালিকার দুইয়ে আছেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার শহিদ আফ্রিদি। তিনে থাকা সাবেক লঙ্কান পেসার মালিঙ্গার শিকার ৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট। তালিকার ৪ থেকে ৯-এর মধ্যে যারা আছেন তারাও বিদায় নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি থেকে। ১০ নম্বরে থাকা ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এখন খেলা হয় না নিয়মিত টি-টোয়েন্টিতে। ১৮ ম্যাচে তার শিকার ২৬ উইকেট।

ব্যাট হাতেও পিছিয়ে নেই সাকিব। ৩১ ম্যাচে ২৬.৮৫ গড়ে তার রানসংখ্যা ৬৯৮। আসরে কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও আছে তিনটি ফিফটি। জায়গা করে নিয়েছেন সেরা দশে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ঝলক দেখাতে পারলে, হয়তো জায়গা করে নেবেন সেরা পাঁচে।  

Leave A Reply

Your email address will not be published.