মেসি-এমবাপ্পের ঝলকে জয়ে ফিরল পিএসজি

লিগ ওয়ানের খেলায় বড় জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের মাঠ পার্ক ডে প্রিন্সে ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে সেন্ট এতিয়েনেকে হারাল পচেত্তিনোর শিষ্যরা। জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোল না পেলেও ম্যাচে জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। গত ম্যাচে নঁতের বিরুদ্ধে একই ব্যবধানে হেরেছিলো মেসি-এমবাপ্পেরা। এ জয়ে পিএসজির সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়াল ৬২ পয়েন্টে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিস তাদের থেকে পিছিয়ে ১৬ পয়েন্ট ব্যবধানে।

0 9,043

ঘরের মাঠে জয় পেলেও ম্যাচের শুরুটা ছিল পিএসজির জন্য ভয়ের কারণ। গতম্যাচের স্মৃতি হয়তো উঁকিও দিচ্ছিল এমবাপ্পে-মেসিদের মনে। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেকে নিয়ে শনিবার আবার ম্যাচ শুরু করে পিএসজি। গত ম্যাচের মতোই ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে পচেত্তিনোর শিষ্যরা। ১২ মিনিটে সেন্ট এতিয়েনের পাল্টা আক্রমণে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলো। কাছ থেকে ইউসুফের শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। কিন্তু ১৬ মিনিটের সময়ে আর বাঁচাতে পারেননি দলকে।  নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে পিএসজির দানিলো পেরেইরা বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান দেনিস বুয়াঙ্গা। সামনে থাকা দোন্নারুম্মাকে সহজে পরাস্ত করেন গ্যাবনিজ ফরোয়ার্ড।

পিছিয়ে পড়া পিএসজিকে টানা দুদফা গোল বঞ্চিত করেন এতিয়েনের গোলরক্ষক বের্নারদনি। ২২ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে দেন তিনি। ২৮ মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে আরো একবার গোল বঞ্চিত করেন মেসিকে। এর মাঝেই এতিয়েনের গোলদাতা বুয়াঙ্গার দূরপাল্লার একটি শট চমৎকার ভাবে ঠেকান দোন্নারুম্মা।

পিএসজি সমতায় ফেরে প্রথমার্ধের শেষের দিকে। ৪২ মিনিটে মেসি-এমবাপ্পের যুগলবন্দী ম্যাচে ফেরায় পিএসজিকে। ডানপ্রান্ত থেকে মেসি ডিবক্সে চমৎকার পাস দেন এমবাপ্পেকে। সুবিধজনক জায়গা থেকে মিস করেননি তিনি। তার প্লেসিং শট গোলরক্ষকের হাতে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।

ম্যাচে সমতায় ফিরে এগিয়ে যেতে আর সময় নেয় নি পিএসজি। আবার দলের দুই মহাতারকার ঝলকে গোল পেয়ে এগিয়ে যায় প্যারিসের দলটি। এবার ডিবক্সে বল পেয়ে মেসি চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন এমবাপ্পেকে। আবারো জাত গোলদাতার মতোই ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান তিনি। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি।

জোড়া গোলে এমবাপ্পে এদিন ছুঁয়ে দিলেন সুইডিশ কিংবদন্তি জলাতন ইব্রাহিমোভিচের রেকর্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পিএসজির পক্ষে এখন দুজনের গোল সংখ্যা সমান ১৫৬ টি। ২০০ গোল নিয়ে গোলের সংখ্যায় তাদের সামনে শুধুই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি।

রেকর্ডের পর ম্যাচটিকে আরও একটু স্মরণীয় করে রাখতে এবার গোলে সহযোগিতাও করলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। দ্বিতীয় গোলের ৪ মিনিট পরেই আবার গোল পায় পিএসজি। এমবাপ্পের দূরপাল্লার ক্রস দূরের পোষ্টে  হেডে ব্যবধান বাড়ান পেরেইরা।

এর পরেও গোলের সুযোগ পায় পিএসজি। ডি মারিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন এতিয়েনে গোলরক্ষক। ভাগ্য সহায় হলে গোল পেতেন মেসি ও আরেক তারকা নেইমারও। ওয়ান টু ওয়ানে গোল মিস করেন মেসি। আর ম্যাচের ৮০ মিনিটের সময় নেইমারের শট ফেরে গোলবারে লেগে।

এ ম্যাচে জয়ের ধারায় ফেরা পিএসজি থাকলো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই। দ্বিতীয়ে  থাকা নিসের সঙ্গে যা ব্যবধান তাতে পিএসজি আগাম শিরোপা উৎসব শুরু করে দিতেই পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.