মেসি-এমবাপ্পে যুগলবন্দিতে বড় জয় পিএসজির
অবশেষে গোলপোস্টের সঙ্গে সখ্যতা ভেঙে জালের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। তার জোড়া গোল, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে মপেলিয়েরকে হারিয়েছে পিএসজি।
এর আগে টানা তিন ম্যাচে ড্র করেছিল লিগ ওয়ানের চলতি মৌসুমের শিরোপা আগেই নিশ্চিত করে ফেলা পিএসজি। প্রতিপক্ষের মাঠে পাওয়া জয়ের দিনে স্বস্তির খবর অবশ্য লিও মেসির গোলে ফেরা। লিগে পিএসজির ম্যাচ বাকি রয়েছে আর মাত্র একটি।
মপেলিয়েরের মাঠ স্তাদে ডে লা মোসনে প্রথম থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকা পিএসজি প্রথম গোলের দেখা পায় ম্যাচের ১০ মিনিটও না গড়াতেই। ষষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় তারা। এমবাপ্পেরে অ্যাসিস্টে দূরের কর্নার দিয়ে বামপায়ের জোরালো শটে প্রথম গোলটি করেন তিনি।
গোল পেয়ে আরও উজ্জীবিত হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে পিএসজি। দশ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের একটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। ১৪ মিনিটের মাথায় উইনালডুমের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তবে লিড দ্বিগুণ করতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি পিএসজির। আবারো এমবাপ্পে-মেসি কম্বিনেশনে দারুণ এক গোল পায় তারা। গোলরক্ষকের পা থেকে শুরু হওয়া আক্রমণ থেকে এমবাপ্পে বামপ্রান্তে বল পেয়ে দারুণ ক্রস বাড়ান ডিবিক্সে। বাতাসে ভাসা বল নামিয়ে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি ঠান্ডা মাথায় দারুণ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। খেলার তখন মোটে ২০ মিনিট অতিবাহিত হয়েছে।
লিগে এই নিয়ে ৬ গোল হলো মেসির। পিএসজির হয়ে লিগে এই প্রথম এক ম্যাচে দুই গোলের দেখা পেলেন তিনি।
ছয় মিনিট পর আবার গোল পায় পিএসজি। এবার গোলের দেখা পান আরেক আর্জেন্টাইন সুপারস্টার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। এবারেও গোলের উৎস এমবাপ্পে। চমৎকার পায়ের কাজে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে ডি-বক্সে ক্রস দেন এমবাপ্পে। মপেলিয়েরের বক্সে উড়ে আসা বল থামান মাঝখানে থাকা ডি মারিয়া। তার নিচু শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়িয়ে যায়।
দারুণ খেলতে থাকা এমবাপ্পেও গোলের দেখা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৪ মিনিটে তার শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
৩-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষে বিরতিতে যায় পচেত্তিনোর শিষ্যরা।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় আক্রমণ জারি রাখে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। তবে গোলের দেখা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৬০ মিনিট পর্যন্ত।
মপেলিয়েরের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন এমবাপ্পে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পটকিকে গোল করে গোলের খাতা খোলেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি তারকা। এই নিয়ে সব টুর্নামেন্ট মিলে এই মৌসুমে ৫৬ গোলে (৩৫ গোল, ২১ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন এমবাপ্পে। এটাই ক্লাব পর্যায়ে এক মৌসুমে তার সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের রেকর্ড।
ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল মপেলিয়ের। কিন্তু তাদের ফরাসি মিডফিল্ডার মলেতের শট পোস্টে লেগে লক্ষ্যচ্যুত হয়। এর ঠিক পরের মিনিটে আবার জালে বল পাঠান ডি মারিয়া। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
এই জয়ে ৩৭ ম্যাচে ২৫ জয়ে পিএসজির সংগ্রহ দাঁড়াল ৮৩ পয়েন্টে। সমান ম্যাচ খেলে দুইয়ে থাকা মোনাকোর সংগ্রহ ৬৮। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে তিন নম্বরে মার্সেই। ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে চারে রেন।