জেলা পরিষদ না রাখার পক্ষে সরব বিরোধীদলীয় এমপিরা

জেলা পরিষদের কোনো কর্মকাণ্ড নেই। এখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। জেলা পরিষদ দুর্নীতির একটা আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।

0 5,365

বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জেলা পরিষদ সংশোধন বিল ২০২২ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন অভিযোগ করেন হারুনুর রশিদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘যেখানে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই সেখানে জেলা পরিষদের মতো অথর্ব প্রতিষ্ঠানের দরকার আছে বলে মনে করি না। জেলা পরিষদের নামে ঘরের মধ্যে ঘর করা কি দরকার?’

একই বিষয়ে সংসদে কথা বলেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘লোকাল গভর্মেন্ট অবশ্যই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব হতে হবে। এই বিলে অনেক সমস্যা আছে। এটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। পুরো আইনটি পুনর্গঠন দরকার। এটির জনমত যাচাই করা দরকার।’ ভোট না করে কেন প্রশাসক দিয়ে চালানো হবে- সেটাও জানতে চান তিনি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বিলটি রাখার আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এর কোনো কাজ নেই। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কোনো সম্মান নেই।’

এই এমপি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান কী, তিনি নিজেও জানেন না। তার কোনো মর্যাদা নেই। কে ক্ষমতাধর জেলা প্রশাসক, না জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা? এটা সুনির্ধারিত না। তাই এটি একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’

তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে লিঙ্কেজ রাখার জন্য এই আইনটি করা হচ্ছে। কারণ এই সংশোধনী বিলের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যানরা জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে হিসেবে তিনি নিজ ইউনিয়নকে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.