আমেরিকায় উড়াল দিচ্ছেন সাকিব
দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরে না গিয়ে সাকিবের ছুটি কাটানো নিয়ে কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। শেষমেশ যে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার, অবশেষে সেই পরিবারের সান্নিধ্য পেতেই আমেরিকায় উড়াল দিচ্ছেন।
জানা গেছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাতার এয়ারওয়েজে আমেরিকার উদ্দেশে উড়াল দেবেন সাকিব। সেখানে কয়েকদিন থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের পর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
যদিও আমেরিকায় যাওয়ার আগে ছুটিতে থাকা অবস্থাতেই একাধিক বিজ্ঞাপনের শুটিং ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক কাজেও জড়ান তিনি। সম্প্রতি তিনি ব্যাংক মালিকানায় যুক্ত হচ্ছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পারিবারিক কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে খেলতে চাননি সাকিব। সে জন্য বিসিবিকে লিখিত চিঠি দিয়েছিলেন দেশসেরা এ অলরাউন্ডার। এরপর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের ছুটি মঞ্জুরের কথাটি নিশ্চিতও করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এর আগে বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। টাইগারদের এবারের সফরেও যাননি তিনি। যদিও সাকিবকে অন্তর্ভুক্ত করেই ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব আল হাসান। বাইশগজে যখন ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়ান তখন যেমন খবরের শিরোনাম হন, তেমনি নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডেও সবসময় লাইমলাইটে থাকেন তিনি।
সম্প্রতি ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে একটি অনলাইন পোর্টালকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। যেখানে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং নানা বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া উঠে এসেছে তার ব্যক্তিগত জীবনেরও অনেক প্রসঙ্গ। এটা সবারই জানা যে, সাকিবের পরিবার এখন থিতু হয়েছে সুদূঢ় যুক্তরাষ্ট্রে। এমনকি তার বড় মেয়ে আলাইনা আমেরিকার একটি স্কুলে নিজের পড়াশুনার হাতেখড়িও করেছে।
বায়োবাবলে ক্রিকেটারদের জীবন এমনিতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তবে খেলা শেষে তবুও ক্রিকেটাররা পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পায়। কিছুটা প্রশান্তিও মেলে। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে তেমনটাও ঘটে না। কারণ স্বল্প সময়ের ছুটি নিয়ে এতদূরের পথ যেতে আসতেই ফুরিয়ে যায়। আর তাই জানতে চাওয়া হয়, পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট হয় কি না।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, অবশ্যই কষ্ট হয়। তিনি বলেন, এমন জায়গায় আমাকে ফ্লাই করতে হয়, যেখানে যাওয়ার পর ফরম্যালিটি মেইনটেইন করতেই চার দিন লাগে, আর আসার পর লাগে সাত দিন। সাত আর চার এগারো আর চার দিন ট্রাভেল, তার মানে একেকবারেই পনেরো দিন চলে যাচ্ছে জার্নিতে। এটা যে কারও জন্য অনেক বেশি কঠিন।
এরপরই সাকিব বলেন, মানুষ শুধু ভাবে আমি কেন এত ছুটি চাই। খেলতে চাই কি চাই না, কিংবা এরকম না হলে ওরকম হতো! কিন্তু আপনি এটা চিন্তা করেন তো আমি কতটা ত্যাগ স্বীকার করছি। মানুষ শুধু সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু আমার ত্যাগটা দেখে না। আপনার তিনটা বাচ্চা থাকলে, আপনার অবশ্যই তাদেরকে দেখতে মন চাইবে।