ভ্যাকসিন না দেওয়ায় হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাদারীপুরে সারাদিন অপেক্ষা করেও করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা সদর হাসপাতালের সামনে এই বিক্ষোভ করা হয়।

0 679

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শত শত শিক্ষার্থী। সন্ধ্যার দিকে শেষ হয়ে যায় করোনা ভ্যাকসিন (ফাইজার)। তখন হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোববার শিক্ষার্থীদের আর কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে।

পরে ভ্যাকসিন দেওয়ার কক্ষগুলো তালা দিয়ে চলে যায় দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে ক্ষোভে ফেটে পরে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে হাসপাতালে ঢোকার প্রথম গেটের একটি দরজা ভেঙে ফেলে। পরিবেশ উত্তপ্ত হলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সেখান থেকে চলে যায় শিক্ষার্থীরা।

মাদারীপুর শহরের আলহাজ আমিনউদ্দিন হাইস্কুলের বাণিজ্য বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈকত কাজী অভিযোগ করে বলে, সারাদিন আমাদের রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে সন্ধ্যায় বলে ভ্যাকসিন শেষ। আমাদের ভ্যাকসিন দিতে পারবে না, সেটা আগে বললে আমরা চলে যেতাম। আমাদের সাথে এমন ব্যবহার করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঠিক হয়নি।

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ডা. ইকরাম হোসেন জানান, মাদারীপুর জেলায় ১৮ হাজার ৭২০ জন এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষাদের ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পরে রোববার বিকেলে চলমান কার্যক্রমে শেষ হয়ে যায় এই গ্রুপটির ভ্যাকসিন। যারা আন্দোলন করেছে তারা কোনো পরীক্ষার্থী নয়, তাদের বয়স ১২-১৭ বছরের মধ্যে হবে। আমাদের টার্গেট ছিল শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া, সেটা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা দেখে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করার চেষ্টা করলে তাদের বুঝিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.