বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকবে কিনা; তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষাশন্ত্রী দীপু মনি। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দীপু মনি বলেন, ‘রাজনীতি করাটা মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি অংশ। এখন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তারা কী নিয়ম-কানুন করলেন এবং সেখানে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের কী ব্যবস্থা হলো, সেটা ওই রাজনৈতিক দল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা ঠিক করে না।’
এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাতে কোনো হস্তক্ষেপও করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, অনেকেই অনেক রকম কথা বলেন, অনেক মত আছে। কেউ বলেন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিত, কেউ বলেন- সেখানে রাজনীতি থাকা উচিত। আমরা যদি গণতান্ত্রিক সমাজ চাই, যদি সচেতন মানুষ চাই, দায়িত্বশীল নাগরিক ও বিশ্ব নাগরিক গড়তে চাই, তাহলে রাজনৈতিক সচেতনার কোনো বিকল্প নেই।
দীপু মনির মতে, সেই রাজনৈতিক সচেতনতা ‘দলীয় রাজনীতি’ হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে থাকবে কি থাকবে না; শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু কোনো স্বাভাবিক সুস্থ প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করলে তার ফল ভালো হয় না। তা বিবেচনায় নেয়া উচিত।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজনীতি যেমন একটি স্বাস্থ্যকর ইতিবাচক জিনিস, দলীয় রাজনীতি করতে গিয়ে সেই ইতিবাচকতা বজায় রাখতে হবে। দলীয় রাজনীতি করি বলে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করার প্রবণতা যেন না থাকে।
ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন কেন নেই; প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেছেন। আমি কিন্তু তার সফরসঙ্গী হইনি। কারণ সেখানে আমার কোনো বিষয় আলোচিত হচ্ছে না। কাজেই অন্য কারা যাচ্ছেন, আর যাচ্ছেন না- সেটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। আর করোনা মহামারির একটি বিষয় আছে। আমরা ভয়ে-ভয়ে থাকি, পরীক্ষায় পজেটিভ আসে কি-না।