উড়তে থাকা ইংল্যান্ডের সামনে আজ ‘অজেয়’ যুক্তরাষ্ট্র!

0 8,631

ইরানের মত দলকে পেয়ে ৬ গোল দিয়েছিল ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকা, হ্যারি ম্যাগুইরে, হ্যারি কেইন কিংবা রাহিম স্টার্লিংরা ইরানের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছেন, তাতে ইংলিশরা ১৯৬৬ সালের পর আবারও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে। যদিও ইরানিয়ান মেহেদী তারেমি ইংলিশদের জালে দু’বার বল জড়িয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের জয় এসেছিলো ৬-২ ব্যবধানে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, শুরুটা স্বপ্নের মতোই হয়েছে ইংলিশদের। ফুটবলের কোনো বড় আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘থ্রি লায়ন্স’দের এটা সবচেয়ে বড় জয়ের ঘটনা। ইরানের বিপক্ষে সেই রেকর্ড গড়া জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে আল বাইত স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ১-১ গোলে ড্র করেছিলো গ্যারেথ বেলের দেশ ওয়েলসের সঙ্গে। আজ এই যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারলে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে ইংল্যান্ডের।

অধিনায়ক হ্যারি কেইনের চোট নিয়ে দুশ্চিন্তাও আর নেই ইংল্যান্ডের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলার মতো ফিট আছেন তিনি। টানা দুই ম্যাচ জিততে পারলে আর দিনের প্রথম ম্যাচে ইরান যদি হেরে যায় ওয়েলসের কাছে, রাতে যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড, তাহলে হ্যারি কেইনদের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাবে। তখন আর হিসেব নিকেশ লাগবে না। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরে গেলেও তাদেরকে অন্তত দুই দলের পেছনে ফেলা সম্ভব হবে না।

১৯৮২, ২০০৬, সর্বশেষ ২০১৮-এর আগে আরো তিনবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল ‘থ্রি লায়ন্স’রা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ জিতলে ওই কীর্তি ছুঁতে পারবে সাউথগেটের দল।

প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র বলে তারা সে আশায় বুক বাঁধতেও পারে! যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এর আগে ১১ ম্যাচ খেলে আটবারই জয়ের হাসি হেসেছে ইংল্যান্ড। এই ১১ ম্যাচে তারা গোল করেছে মোট ৩৯টি। গড়ে প্রতি ম্যাচ গোল করেছে তারা ৩.৫৪টি।

তবে, পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ হলেও ইংল্যান্ডের জন্য শঙ্কার বিষয় হলো, বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত কখনো যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারেনি ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। উল্টো ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে ১-০ গোলে হেরেছিল ইংল্যান্ড, যেটাকে মনে করা হয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটন। সর্বশেষ ২০১০ সালের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। সেবার ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে গ্রুপসেরাও হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

চোট নিয়ে খানিকটা দুর্ভাবনা ছিল দুই দলেই। তবে তা কেটেও গেছে। জেমস ম্যাডিসন এখনো অনুশীলনে না ফিরলেও শঙ্কা কাটিয়ে মাঠে নামার জন্য তৈরি আছেন হ্যারি কেইন। ইরানের বিপক্ষে পুরো সময় খেলতে পারেননি তিনি। ৭৬ মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ। যদিও অধিনায়ককে নিয়ে সমর্থকদের স্বস্তির খবর দিয়েছেন ইংল্যান্ড কোচ, ‘কেইন ভালো আছে। বুধবার ব্যক্তিগতভাবে ও কিছু কাজ করলেও বৃহস্পতিবার (গতকাল) দলের সঙ্গেই অনুশীলন করবে। ম্যাচ খেলার মতো ফিটও আছে। আমরা শুধু পরীক্ষা করে কেইনের অবস্থা দেখতে চেয়েছি।’

 

আইএইচএস/JN

Leave A Reply

Your email address will not be published.