ইতিহাসের পাতায় ১৫তম সাকিব আল হাসান
ইতিহাসের ১৫তম ক্রিকেটার হিসেবে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) নিজের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললেন সাকিব আল হাসান। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছুঁলেন এ টাইগার অলরাউন্ডার মাইলফলক। ইতিহাস ছোঁয়ার দিনে ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকলেও বল হাতে ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
সাকিবের টি-টোয়েন্টি শুরুটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ২০০৬ সালে শাহরিয়ার নাফিসের অধিনায়কত্বে খুলনায় যেদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ, সেদিনই এ ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছিল সাকিবেরও।
এরপর কালে কালে গেছে অনেক বেলা, ক্যারিয়ারের অন্তিম মুহূর্তের দিকে হাঁটতে শুরু করেছেন সাকিব আল হাসান। তবে শেষবেলাতে এসেও নাম লিখিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক রেকর্ড বুকে। ইতিহাসের ১৫তম ক্রিকেটার হিসেবে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটায় শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। ম্যাচ শুরুর আগে তাই দলের পক্ষ থেকে পেয়েছিলেন দুর্দান্ত মোমেন্টো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ১০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছিলেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। আর সাকিবের আগে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি ব্যাটার। মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। বাকি ১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে রস টেলর এবং বিরাট কোহলি তিন সংস্করণেই দেশের হয়ে খেলেছেন ১০০টি করে ম্যাচ।
শততম ম্যাচে ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। দলের বিপদের সময় ক্রিজে এলেও ত্রাতা হতে পারেননি। বরং অবিবেচকের মতো ছুড়ে দিয়ে এসেছেন নিজের উইকেট। নতুন শুরুর স্বপ্ন দেখিয়েও তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে, বল হাতে বরাবরের মতোই ছিলেন সেরা ছন্দে।
কিন্তু মুশফিক স্টাম্পিং করে উইকেট উপহার দিতে পারলেও মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ মিস করে সাকিবকে বঞ্চিত করেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১২৩তম উইকেট থেকে। যদিও ম্যাচ শেষে সে আক্ষেপ থাকেনি অধিনায়কের।