কেমন হতে পারে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ যাত্রা?
লিওনেল মেসির অধীনে দীর্ঘ ২৮ বছরের ট্রফি খরা ঘুচিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। ভাগ্য সহায়ক হলে তার অধীনে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপটাও জেতা হতো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিদের। তবে প্রশ্ন, সময়ের সেরা তারকাকে ছাড়া কেমন হবে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স!
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছিলেন একজন ছাড়া বাকিরা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অনিশ্চিত। সে একজনটা নিঃসন্দেহে লিওনেল মেসি। তবে বিশ্বকে ওলট পালট করে দেওয়া করোনা চেনে না মেসি, রোনালদোদের। সুযোগ পেলেই সংক্রমণ করে বসে। ইতোমধ্যে করোনা কবলে পড়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। এমন সম্ভাবনা থাকছে কাতার বিশ্বকাপেও।
স্কালোনির মতে এই একজন সর্বেসর্বা ছাড়া তাহলে কেমন করবে দল। মেসির জাতীয় দলে অভিষেক ২০০৫ সালে। এরপর এখন পর্যন্ত খেলে যাচ্ছেন দলের হয়ে। পরিসংখ্যান বলছে মেসি ছাড়া গত ১৭ বছরে আর্জেন্টিনা ৫৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। যেখানে ৩০ জয়ের বিপরীতে তারা হেরেছে ১২ ম্যাচে। বাকি ১২ ম্যাচ ড্র হয়েছে।
১৭ বছরের হিসেবে অভিষেকের পর থেকে হয়তো মেসির প্রয়োজনীয়তা দলে এতটা ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের সর্বেসর্বা। তাকে ছাড়া শেষ দশটি ম্যাচের হিসেব করলে দেখা যাবে আর্জেন্টিনার জয়ের সংখ্যাটা ৭। হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচে। যেটা কিনা ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিলের বিপক্ষে। বাকি দুই ম্যাচ তারা ড্র করেছিল। এরমধ্যে শক্তিশালী জার্মানির বিপক্ষে তারা ২-২ গোলে ড্র করেছিল। ম্যাচগুলোর মধ্যে ৬-১ গোলের বড় জয় পেয়েছিল ইকু্যেডরের বিপক্ষে। আরও সাম্প্রতিক সময়ের হিসেবে মেসিকে ছাড়া ২০২২ সালে দুটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। দুটো ম্যাচই ছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের। যেখানে চিলি ও কলম্বিয়াকে হারিয়েছে দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
মেসি বিহীন আর্জেন্টিনাকে ছাড়া জয়ের পথ বাতলে দেন তাদের মধ্যে অন্যতম অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, স্ট্রাইকার লাওতারো মার্টিনেজ । বর্তমান আর্জেন্টাইন স্কোয়াডে এদের কোনো ভাবেই বাতিলের খাতায় রাখতে পারেন না কোচ। ডি মারিয়া, গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, স্ট্রাইকার লাওতারো সাম্প্রতিক সময়ে যে পারফরম্যান্স করছে তাতে তারা দলের অটো চয়েজের জায়গায় থাকবেন। তাছাড়া পাওলো দিবালা, জুলিয়ান আলভারেজরাও আছেনই। এদের বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াড অকল্পনীয়। যেমনটা মেসিবিহীন কাতার বিশ্বকাপ যাত্রা অকল্পনীয়।