ফিফার এমন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা করোনা বিধিনিষেধ না মানায় ম্যাচটি ৭ মিনিট গড়ানোর পরই স্থগিত করা হয়। এরপর ফিফা স্থগিত ম্যাচটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক রায় দেয়। সেই রায়ে বলা হয় আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা আর সেই স্থিগ ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে।

0 9,033

এদিকে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে ভিন্ন এক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এ মহারণ ম্যাচটি। তবে কবে মাঠে গড়াবে সে কথা জানানো হয়নি সেই বিবৃতিতে। সেই ম্যাচ নিয়ে ঘোষণা এখানেই শেষ নয়। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দেশের ফেডারেশনকেই জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে।

নতুন ঘোষণা অনুসারে লিওনেল স্কালোনির দলের শক্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে অনেকটাই। সেই ম্যাচে মূল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল যাদের খেলাকে ঘিরে, সেই চারজনকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। সেই চার খেলোয়াড় হলেন- ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জিওভান্নি লো সেলসো। এদিকে খেলোয়াড় নিষিদ্ধ ছাড়াও জরিমানা করা হয়েছে দুই দলের ফেডারেশনকে।

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনকে যথাক্রমে ৫ লাখ ও ২ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়েছে। আর ম্যাচ স্থগিত হওয়ার জন্য দুই দেশের ফেডারেশনকে একসঙ্গে ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়।

তবে ফিফার দেওয়া এমন রায়ে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে দুই দল। দুই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনই ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতিতে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি ফিফার দায়ের বিরুদ্ধে আপিএলের ঘোষণাও দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় দুই দেশ।

এর প্রতিক্রিয়ায় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরের সেই ম্যাচকে ঘিরে দেওয়া রায়টি পুনর্বিবেচনা করতে ফিফাকে অনুরোধ করা হয়েছে। নিজেদের খেলোয়াড়দের পক্ষে লড়ব আমরা এবং পুরো ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আদায় করব।

Leave A Reply

Your email address will not be published.