বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফন, হাইকোর্টে রিট

বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে গার্ড অব অনার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত সবাই। উপস্থিত ছিলেন ফোর্সসহ থানার ওসি। কিন্তু এ সংবাদ জানানোর পর আসেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

0 14,222

 এ কারণে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই ২৯ জানুয়ারি দুপুরে দাফন করা হয় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব শিকদারকে। গার্ড অব অনার ছাড়া দাফনের ঘটনার তদন্ত চেয়ে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টে রিট করেছেন মুক্তিযাদ্ধার সন্তানের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।


তবে অভিযুক্ত ইউএনও জানান, সবশেষ মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গেজেটে নাম না থাকায় যাননি তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। রিটে বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় গার্ড অব অনার না দেওয়ার কারণ তদন্ত করার দাবি করা হয়। একই সঙ্গে একজন বীরকে তার প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেয়াকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।

রিটে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটটি বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী।
 
গত শুক্রবার রাতে বাজিতপুর পৌরসভার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব শিকদার স্ট্রোকে মারা যান। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজার সময় দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মাননার জন্য জানানো হয় থানার ওসি ও উপজেলা প্রশাসনকে। শনিবার সকালে জানাজার জন্য মাঠে জড়ো হন সবাই। ফোর্স নিয়ে আসেন থানার ওসিও। কিন্তু আসেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ কারণে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার ছাড়াই দুপুরে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার এই অসম্মানের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছেলে রানা শিকদার। রিটকারীর আইনজীবী বলছেন- মুক্তিযোদ্ধার জানাজায় গার্ড অব অনার দেওয়া বাংলাদেশের একটি আইন।

এর আগে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব শিকদারের জানাজায় পুলিশের গার্ড অব অনার না দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদার মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তার জানাজায় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
এমন পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অফ অনার দিতে পারেনি প্রশাসন। ২৯ জানুয়ারি বিকেলে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
Leave A Reply

Your email address will not be published.