ভারতকে হারিয়ে সাফের শিরোপা বাংলাদেশের

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য ছিল স্বাগতিক দল। দ্বিতীয়ার্ধে ভারতের জালে একবার বল জড়ালেও রেফারি তা বাতিল করে দেন। তবে ম্যাচের ১০ মিনিট বাকি থাকতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

0 7,224

প্রথমার্ধে গোল না পেলেও কমলাপুর স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশই। ম্যাচের ১৫ মিনিটের আগে একটি গোল পেয়েও যেতে পারত গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। তবে গোললাইনের ওপর থেকে ভারতের গোলরক্ষক বল গ্লাভসে পুড়ে নিলে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের বাকি সময়টায়ও ভারতের ওপর একের পর এক আক্রমণ করে মারিয়া মান্ডার দল, শুধু ভাগ্যই সহায় ছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

ম্যাচের ২৫ মিনিট অতিবাহিত হলে আক্রমণে কিছুটা ধার কমে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের। এ সময় ভারত দুয়েকটি বল বাংলাদেশের গোলপোস্ট অভিমুখে নিয়ে এসে শঙ্কা জাগায় লাল-সবুজ শিবিরে। তবে গোল আর পায়নি তারা।
৩৫তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক আক্রমণ সাজান বাংলাদেশের রিপা। তবে তিনি বল অন্য প্রান্তের সতীর্থের কছে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে বৃথা যায় মেয়েদের প্রচেষ্টা। এর মিনিটখানেকের মধ্যে এমন আরেকটি আক্রমণের সাক্ষী হয় কমলাপুর স্টেডিয়াম। বিপরীতে ভারতের মেয়েরা বলতে গেলে বাংলাদেশের জাল বরাবর বল নিয়েই আসতে পারেনি। রক্ষণভাগের দৃঢ়টায় সব অতিক্রম করতে সক্ষম হয় রব্বানীর শিষ্যরা।
 
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে বেশ কটি শক্তিশালী আক্রমণ করে স্বাগতিক দল। ৫০তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। দশ মিনিট পর  রিপার উড়ন্ত ক্রস একটুর জন্য জালে জড়াতে ব্যর্থ হন শামসুন্নাহার। তার হেডে বল চলে যায় বারপোস্টের উপর দিয়ে। অন্যদিকে ৬৪তম মিনিটে লাফিয়ে উঠে ভারতের একটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক।

বাংলাদেশের দাপট সত্ত্বেও ম্যাচের বয়স যতই বাড়ছিল ততই গোল না পাওয়ার শঙ্কা ঝেঁকে বসছিল। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে যে গোলটি এসেছিল সেটি যে ম্যাচের প্রথম দিকে! তবে ম্যাচের ১৬ মিনিট বাকি থাকতে ভারতের জালভেদ করে স্বাগতিক দল। রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন। তাতে আশাহত হয় কমলাপুরের ঢল নামা বাংলাদেশি দর্শকরা। অবশেষে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়। ৮০ তম মিনিটে রিপার ব্যাক পাস থেকে আনাই মোগিনির দুর্দান্ত শট জালের ঠিকানা খুঁজে নেয়। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে উল্লাসে মাতে মারিয়া মান্ডারা।
Leave A Reply

Your email address will not be published.