ডায়রিয়া বৃদ্ধির জন্য পানি দূষণকে দায়ী করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পানি দূষণকে দায়ী করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে দেশের পানি, বায়ু ও মাটিকে ভালো রাখতে হবে।

0 8,033

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে দেড় কোটিরও বেশি লোক বাস করে। এই শহরে বায়ু দূষণ অনেক বেশি। নগরায়ন এত হচ্ছে যে গাছপালা থাকছে না। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ হচ্ছে। খাদ্যে ভেজালের কারণেও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে, প্রাণী ভালো থাকবে।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছর বিশ্বে ৬০ লাখ হেক্টর বনায়ন ধ্বংস করা হয়, যা বাংলাদেশের অর্ধেক। বাংলাদেশ বেশি দূষণ করে না। সবচেয়ে বেশি আফ্রিকা, চীন, আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারতসহ অন্যান্য দেশ করে। কিন্তু ক্ষতিটা আমাদের বেশি ভোগ করতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ২০ শতাংশ জমি শিগগিরই পানিতে তলিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশ কাজ করছে— উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী দখল মুক্ত করছেন, নদীগুলো দূষণমুক্ত করার চেষ্টা করছেন। দূষণরোধে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, জলবায়ু আর দূষণের কারণে আমাদের মধ্যে রোগবালাই ভয়াবহভাবে বাড়ছে। সেগুলো থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, দ্রুত নগরায়নের ফলে রাজধানীতে যানজট এবং শব্দদূষণ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমনকি এ শব্দদূষণের মাত্রা এমন যে, এর প্রভাবে আমাদের শ্রুতি ও দৃষ্টি শক্তি কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মহামারিতে সারা দেশে ডাক্তার, নার্স, গণমাধ্যম, প্রশাসনসহ সবাই মিলে কাজ করেছি। যার ফলে করোনা মহামারিকে আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি। একইভাবে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ক্ষতি ও মৃত্যু আমরা কমাতে চাই। এজন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ আরও অনেকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.