গবেষণার কোনো বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী
মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে বিজ্ঞানীদের।
মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে বিজ্ঞানীদের। সব খাতেই গবেষণার প্রয়োজন আছে এটা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন বা উৎকর্ষ কোনোটাই অর্জন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) নবনির্মিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময়, প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে গবেষণা বাড়াতে হবে।
পরমাণু থেকে শুধু চিকিৎসাই নয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জটিল প্রক্রিয়ার পথেও এখন বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। পরের বছরের শেষ নাগাদ চালু হবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এছাড়া, প্রচলিত জ্বালানির বদলে হাইড্রোজেন ফুয়েলে গাড়ি চালানোর প্রযুক্তিতেও পিছিয়ে নেই দেশও। এসব কোনো নিছক গল্প নয় বরং বাস্তবে রূপ পেয়েছে বিজ্ঞানীদের অবদানে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা, বিজ্ঞান শিক্ষা ও প্রযুক্তি চর্চার স্থায়ী অবকাঠামো হিসেবে যাত্রা শুরু হলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের। আগারগাঁওয়ে নির্মিত এ ভবনে সৌরজগতের ডিজিটাল স্ত্রিন, হল রুম, প্রদর্শনী কেন্দ্রসহ রয়েছে আধুনিক সুবিধা। সবমিলে অবারিত বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ উন্মোচনের দুয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে এ স্থাপনা।
উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী দেশের রাজনীতি বলেন, বিএনপির অজ্ঞতায় দেশ প্রযুক্তি উন্নয়নে পিছিয়ে গিয়েছিল ৯০ এর শাসনামলে।
দেশে কার্যকর গবেষণা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গবেষণালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিমণ্ডলে দেশের মান বদলেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই।
ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এ আধুনিক ভবনটি। সংশ্লিষ্টরা জানান, নবনির্মিত এই ভবনটি দেশের বিজ্ঞান চর্চায় অগ্রণি ভূমিকা রাখবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এ স্থাপনায় আধুনিকভাবে বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রদর্শনী সংক্রান্ত যাবতীয় সুবিধা মিলবে।