আফগানদের হারিয়ে ফাইনালের দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

সুপার ফোরের ম্যাচ, যারা জিতবে তারা এক ধাপ এগিয়ে যাবে ফাইনালে উঠার দৌড়ে। শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের ম্যাচটিতে তাই উত্তেজনা ছিলই। সেই উত্তেজনায় শেষ পর্যন্ত জিতেছে শ্রীলঙ্কা, একাধিক ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবি বাহিনীকে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ৪ উইকেটে।

0 12,810

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ‘রহমানউল্লাহ গুরবাজ প্রদর্শনী’র পর শারজাহ স্টেডিয়াম দেখেছে শ্রীলঙ্কার টিম ইফোর্ট। রান তাড়া করতে নেমে লঙ্কানদের মধ্যে কেউ হাফসেঞ্চুরিও করেননি, তবে ৩০ রানের বেশি করেছেন ৪ জন ব্যাটার। কুশাল মেন্ডিস ৩৬, পাথুম নিসাঙ্কা ৩৫, দানুস্কা গুনাথিলাকা ৩৩ ও ভানুকা রাজাপাকসে ৩১ রান করে তোলেন।

শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান করে ১৭৫ রান। জবাবে ৫ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।

রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। নাভিন উল হকের বলে মিড উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানকে ক্যাচ দেন কুশাল মেন্ডিস। মেন্ডিস আউট হয়ে গেলে শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখাতে শুরু করেন পাথুম নিসাঙ্কা। মুজিব উর রহমানের ক্যারম ডেলিভারি খেলতে গিয়ে ৩৫ রানে তিনি ক্যাচ তুলে দেন গুরবাজের হাতে। আসালাঙ্কাকে বোল্ড আউট করেন নবি।

গুনাথিলাকা আর শানাকা মিলে ১৫ বলে গড়েন ২৫ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙে নাজিবউল্লাহ জাদরানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে। মুজিব উর রহমানের বলে বল উড়িয়ে মারেন শানাকা। সীমানা দড়ির কাছে থেকে সেই বল ধরেন নাজিব। তবে তিনি চলে যাচ্ছিলেন মাঠের বাইরে, তাই বল মাঠের দিকে ছুঁড়ে নিজেকে সীমানার মধ্যে নিয়ে এসে সেটি তালুবন্দি করেন তিনি। ভানুকা রাজাপাকসে ক্রিজে আসলে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ হাতে চলে আসে। নাভিন উল হকের ১৬তম ওভারের প্রথম ৩ বলে তিনি নেন ১৪ রান। তবে শেষ বলে ক্যাচ উঠিয়ে দেন ভানুকা রাজাপাকসে। কিন্তু শিনওয়ারি সেই ক্যাচ ছেড়ে দিলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় আফগানরা। যদিও পরের ওভারে গুনাথিলাকাকে ফেরান রশিদ খান। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ১৩ বলে ৩১ রান করে আউট হন রাজাপাকসে। হাসারাঙ্গা করেন ১৬ রান।

এর আগে লঙ্কানদের বিপক্ষে এক উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলে আফগানিস্তান। মহেশ থিকশানার প্রথম ওভারে আসে ৭ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ দিকে শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দেয়া আসিথা ফার্নান্দো দ্বিতীয় ওভারে উইকেট নিতে না পারলেও চমক দেখান। প্রথম বলে চার হজম করে পরের পাঁচটি বলই ডট দেন তিনি। আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৪৬ রান তোলার পর। এ সময় বিদায় নেন হযরতউল্লাহ জাজাঈ। দিলশান মদুশাঙ্কার বলে আউট হওয়া জাজাঈ ১৬ বলে করেন ১৩ রান।

ইনিংসের শুরু থেকে মারমুখী ব্যাটিং করেন গুরবাজ। মাত্র ২২ বলে তিনি হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। পাওয়ার প্লের পরের পাঁচ ওভারে লঙ্কানদের টাইট বোলিংয়ে কিছুটা গতি কমে যায় আফগান ইনিংসের। এ সময়ে কোনো উইকেট না হারালেও তারা তুলে মাত্র ৪০ রান। ১৩ ওভার শেষে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১১।

১৪তম ওভারে গুরবাজ-ইব্রাহিম মিলে তুলেন ২১ রান। তবে পরের ওভারে হাসারাঙ্গা খরচ করেন মাত্র ৬ রান। সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকা গুরবাজ আউট হন আসিথার শর্ট বল খেলতে গিয়ে। আফগান ওপেনারের ভাসিয়ে দেয়া বল তালুবন্দি করে লঙ্কানদের স্বস্তি এনে দেন হাসারাঙ্গা। তার ৪৫ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছয়ের মার।

গুরবাজ আউট হয়ে গেলে ৪০ রানে আউট হন ইব্রাহিম। নবি আউট হন থিকশানার বলে। কিছুক্ষণ পর রানআউটের শিকার হন ঝড় তুলতে শুরু করা নাজিবউল্লাহ। ১০ বলে তিনি করেন ১৭ রান। রশিদ খান ৯ রান করে রানআউট হন। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি উইকেট পান দিলশান মদুশাঙ্কা। মহেশ থিকশানা ও আসিথা নেন একটি করে উইকেট।

Leave A Reply

Your email address will not be published.